২৫ মার্চ ২০১৯ । রাত ১০:২৫| Google Assistant বলছিলো Dhaka 26°C Haze
পিচঢালা এক রাস্তার ধারে বসে সারাদিন তাপে গাজিত চায়ে যখন প্রথম চুমুক দিলাম তখনি চোখ পড়লো এক ফেড়িওয়ালার ভ্যানগাড়ির দিকে। আনুমানিক ১০ বছরের একটি মেয়ে তখন তার বাবার ব্যাবসা গোছাতে ব্যাস্ত। ক্লান্ত বাবা ফুটপাতের ধারে বসে বসেছিলেন, তার চেহারায় যেনো নেমে এসেছিলো অজানা এক দুষ চিন্তার আধার! মেয়েটির শরীর দিয়ে যেনো ধ্বনিত হচ্ছিলো পাকস্থলীর চাপা কান্নার আওয়াজ! কিন্তু তার চেহারায় ভেসে ছিলো আরও একটি সুদীর্ঘ দিনের সমাপ্তির আনন্দ! মনে হচ্ছিলো যেনো, এই জগত এই সমাজের কাছে তার চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই, মুহূর্তেই তার হাসি দেখে মনে হচ্ছিলো, পৃথিবীর সব সুখ সব আনন্দ যেনো তার মধ্যে নিহিত আছে, হয়ে উঠেছিলো সে প্রকৃত সুখী মানুষের একজন। তার দুরন্তপনায় মনে হচ্ছিলো পৃথিবীর সব শক্তি যেনো তার ভেতর দিয়ে রুপান্তরিত হচ্ছিলো!! তা দেখে যদিও নিজেকে নিতান্তই অলস ভেবে বিশাদগ্রস্থ হয়েছি বটে, তবুও খন্ডিত সেই মুহুর্ত উপোভোগ করতে, করতেই ভাবছিলাম “জীবনের ভালো-খারাপ প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করার মধ্য দিয়েই জীবনের প্রকৃত সুখ খুজে পাওয়া যায়, যদিও তাহা আপন দৃষ্টিতে মরিচিকা মাত্র।